বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে জুলাই একটি গৌরবময় ও অনুপ্রেরণার মাস। এই মাসেই জাতি দেখেছে তরুণদের সাহসী প্রতিবাদ, অসীম আত্মত্যাগ এবং গণতন্ত্রের নতুন সূর্যোদয়। এই চেতনাকে ধারণ করে সিটি ইউনিভার্সিটি আয়োজিত “জুলাই স্মরণ অনুষ্ঠান - ২০২৫” শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, সকাল ১১:০০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এক বিশেষ আলোচনা সভা ও স্মরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মো: লুৎফর রহমান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন—
“জুলাই গণঅভ্যুথান ছিল আমাদের গণতন্ত্রের নবজন্ম। তরুণরাই ছিল এই পরিবর্তনের মূল শক্তি। আজকের প্রজন্মের কাছে আমাদের আহ্বান— তোমরাই আগামীর নেতৃত্ব। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবিকতা তোমাদের হাতেই নিরাপদ।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—
প্রফেসর ড. কাজী শাহদাত কবির, উপ-উপাচার্য
মো: নজরুল ইসলাম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক
প্রফেসর আবু জায়েদ মোহাম্মদ, ডীন, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
প্রফেসর ড. জুলফিকার হাসান, ডীন, ব্যবসায় প্রশাসন ও অর্থনীতি অনুষদ এবং বিভাগীয় প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন
প্রফেসর মীর আকতার হোসেন, রেজিস্ট্রার
বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে বলেন—
“গণতন্ত্র শুধু রাজনৈতিক কাঠামো নয়, এটি মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও সাহসিকতার প্রতীক। ইতিহাসের এই গৌরবময় অধ্যায় নতুন প্রজন্মের জন্য শিক্ষা ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।”
এই অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয় আমাদের গর্ব, সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক শহীদ সজলকে, যিনি ছিলেন সিটি ইউনিভার্সিটির একজন ছাত্র। তদ্রূপ, যাঁরা জুলাই আন্দোলনে আহত হয়েছিলেন—সিটি ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের সাহসী ফ্রন্ট ফাইটারদের প্রতি জানানো হয় গভীর শ্রদ্ধা।
তাঁদের অসীম সাহসিকতা ও দৃঢ় মনোবল আজকের তরুণদের সামনে অনুকরণীয় এক আদর্শ হয়ে উঠেছে।
এই অনুষ্ঠান শুধু অতীতকে স্মরণ নয়, এটি একটি প্রতিজ্ঞার ঘোষণা—
সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নের পক্ষে সবসময় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে করেছে অনন্য ও হৃদয়স্পর্শী।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রফেসর ড. রহমান ম মাহবুব, উপদেষ্টা, ছাত্র কল্যাণ দপ্তর (DSW) এবং বিভাগীয় প্রধান, ইংরেজি বিভাগ।
বাদ জোহর আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়, যেখানে সকলে অংশগ্রহণ করেন গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সঙ্গে।
এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিটি ইউনিভার্সিটি আবারও প্রমাণ করেছে—
“ইতিহাসকে স্মরণ করাই শুধু নয়, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে একটি সুশৃঙ্খল, মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের প্রজন্মের দায়িত্ব।”
সিটি ইউনিভার্সিটি গর্বিত— কারণ তার ছাত্রছাত্রীরা কেবল জ্ঞানে নয়, দেশপ্রেম, নেতৃত্ব ও সাহসে-ও সমানভাবে অনন্য।